লিখতে গেলাম মনখারাপ, হয়ে গেল মঙ্খারাপ। টাইপ করে বাংলা লেখার এই এক মজা। আরো মজা লাগল এই ভেবে যে মঙ্খারাপটা মোটেই মনখারাপের মত নয়, বরং শুনতে অনেকটা ময়ূরপঙ্খী ময়ূরপঙ্খী! J ইশ! কবিতা লিখতে পারলে একটা মঙ্খারাপের নৌকা ভাসাতাম! নাহলে একটা বেশ রাজপুত্তুরের গল্প, যেখানে রাজপুত্তুর স্বপ্ন দেখে। রোজ তার স্বপ্নে আসে এক সুন্দরী পরী। সাদা রঙের ফ্রক আর চোখে একটা ইয়াব্বড়ো সানগ্লাস! কিন্তু পরী থাকে অনেক দূরে। আর রাজপুত্তুরের কাছে তো শুক-সারী কেউ নেই। তাই তাকে কেউ বলেও দিতে পারে না পরী কোথায় থাকে? এদিকে কোনো কারণ ছাড়াই রাজপুত্তুরের গোমড়ামুখ। আর সেই যুগও তো আর নেই যে রাজপুত্তুরের বাবার রাজার মত হাল। আমাদের রাজপুত্তুর খুব সাধারণ। তাই তার মোবাইল আছে। কিন্তু মোবাইলের ব্যালান্স শুধুই শেষ হয়ে যায়।L আর পরীর সঙ্গে তো যতই কথা বলে, ততই মনে হয় কি যেন রয়ে গেল বাকি! এই যাহ্! না না। গল্পটা গুলিয়ে গেছে।L এরকম না! কোথায় রাজপুত্তুর পরীর খোঁজে মঙ্খারাপের নৌকো করে বেরিয়ে পড়বে সাতসমুদ্র আর তেরো নদী পার করতে, তা না কোত্থেকে হতচ্ছাড়া মোবাইল এসে হাজির হল। সব ওই মঙ্খারাপের খেলা! দেখতে শুনতে ময়ূরপঙ্খী হলে কি হবে, আসলে তো ছদ্মবেশী মনখারাপ।
পুনশ্চঃ
নাহ্। পুনশ্চ বলে খেয়াল হল কি ভেবেছিলাম ভুলে গেছি! L